দ্য চেরি অন দ্য কেক—ইংরেজি এই বাক্যের অর্থ হতে পারে বাড়তি পাওয়া। লিওনেল মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতার ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই। বিশ্বকাপ জেতার পর ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের এ পুরস্কারটি মেসি না পেলেও খুব একটা ক্ষতি হতো না। মেসি নিজেও ব্যালন ডি’অর নিয়ে আকাঙ্ক্ষার সমাপ্তির কথা বলেছিলেন।
কিন্তু এবার না পেলে হয়তো ভক্তদের একটু অপূর্ণতা ও আক্ষেপ নিশ্চয় থেকেই যেত। বিশ্বকাপের জয়ের বছর বলে কথা। আজকের পর সেই অপূর্ণতাটুকুও আর থাকল না। সাতটি ব্যালন ডি’অর জিতে আগেই নিজেকে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন মেসি। আর এবার অষ্টমটি জিতে সেই দূরত্বে তুলে দিলেন চীনের শক্ত প্রাচীর। এ প্রাচীরটি হয়তো শিগগির খুব সহজে আর ভাঙবে না।
মেসির পুরো জীবনটাই গেছে মাপামাপিতে। তাঁর বয়স যখন আট, তখনই মা–বাবা তাঁর উচ্চতা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা শুরু করলেন। পরীক্ষায় জানা গেল তাঁর শরীরের নির্দিষ্ট একটি হরমোনের ঘাটতি রয়েছে। তবে ১ হাজার ৫০০ ডলারের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাঁর পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। রোজারিওর দুটি কোম্পানিও এগিয়ে এসেছিল সহায়তায়। কিন্তু দুই বছর পর টাকা ফুরিয়ে গেলে নিউওয়েলস জানাল, তাঁর ইনজেকশনের খরচ চালাতে পারবে না৷ মেসির পরিবার বুয়েনস এইরেসের রোজারিওতে গিয়ে রিভার প্লেটে ধরনা দিল।
About Author
0 Response to "কেকের ওপর ছোট্ট চেরিটাও মেসির"
Post a Comment